চালু করার ১০ বছর পর বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ফেসবুকের কানেক্টিভিটি বিভাগ। সম্প্রতি লাইট রিডিং এবং ফিয়ার্স ওয়ার্লেস নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মেটা। ফেসবুক কানেক্টিভিটি শুরু হয় ২০১৩ সালে। উদ্দেশ্য ছিল অনেক বেশি মানুষকে সোশাল নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসা। এই প্রকল্পে হাই-ফ্লাইং ড্রোনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিমের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া। এখন সেটি বাতিল প্রকল্প। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি স্টারলিংক ইন্টারনেট ব্যবস্থার মতো লো-আর্থ অরবিট স্যাটেলাইট বসানোর পরিকল্পনাও করেছিল।
বাংলালাইভের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করু
ভার্জ জানায়, কানেক্টিভিটি বিভাগটি ঠিক কবে বন্ধ হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলেনি মেটা। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পর বিভাগটির অনুপস্থিতি দেখা গেছে। ভার্জ আরও জানায়, ড্রোন, স্যাটেলাইট বা হেলিকপ্টারে করে ইন্টারনেট সরবরাহের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছাড়াও অনুন্নত দেশগুলোতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল মেটার। অবশ্য সেই ইন্টারনেটে শুধুমাত্র ফেসবুক আর অল্পকিছু ওয়েসবসাইটে ভ্রমণ করা যেতো। এদিকে ২০২১ সালের অক্টোবরে মেটা জানায়— তাদের কানেক্টিভিটির ইন্টারনেট পরিষেবা তিনশ’ মিলিয়নের ওপরে ব্যবহারকারীকে সেবা দিয়েছে।
অবশ্য লাইট রিডিং জানায়, মেটার এই কানেক্টিভিটি পরিষেবাটি বন্ধ হয়ে গেলেও তাদের টেলিকম ইনফ্রা প্রোজেক্ট বা টিআইপি’র কোনও সমস্যা হবে না। ২০১৬ সালে মেটা একটি গঠন করতে সহায়তা করে। টিআইটি হলো টেলিকম প্রতিষ্ঠান, সার্ভিস প্রোভাইডার এবং কানেক্টিভিটি স্টেকহোল্ডারদের একটি গ্রুপ, যা নতুন টেলিকম অবকাঠামো তৈরিতে সহায়তা করে। এদিকে কানেক্টিভিটির সাবেক প্রধান ড্যান রাবিনোভিতস এখনও প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত রয়েছেন। তাকে অন্য কোনও বিভাগে নেওয়া হবে কিনা, সেটা এখনও বুঝা যাচ্ছে না।