কিংবদন্তি গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর কথায় দেশের অনেক নামজাদা গায়ক-গায়িকার কণ্ঠে ডানা মেলেছে গান। সেসব গান শ্রোতারাও সাদরে গ্রহণ করেছেন।
‘একদিন ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘সময় যেন কাটে না’, ‘হৃদয় কাদামাটির কোনো মূর্তি নয়’, বা ‘দখিনা হাওয়ায় ঐ তোমার চুলে’র মতো অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান রয়েছে এ গীতিকবির।
অন্যদিকে সংগীতাঙ্গনে বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের রাজকীয় বিচরণ দীর্ঘদিনের। ‘তোমাকে যেন ভুলে না যাই’, ‘দয়াল কি সুখ তুমি পাও’, ‘জীবনের এই যে রঙিন দিন’, ‘এক হৃদয়হীনার কাছে হৃদয়ের দাম কি আছে’, ‘বৈশাখী মেঘের কাছে জল চেয়ে’-এর মতো অনেক গান তার কণ্ঠের পুষ্পক রথে চড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচ-কানাচে।
এবার সংগীতের এই দুই ব্যক্তিত্বকে এক সুতোয় গাঁথলেন সুরকার আলাউদ্দিন মাহমুদ সমীর। তার সুরে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রফিকুল আলম। গান দুটির সংগীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ। শুক্রবার (৯ জুন) রাতে মগবাজারের ডি স্টেশনে প্রথম গান ‘আমি তো নেই আর’-এর রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়।
এ প্রসঙ্গে সুরকার আলাউদ্দীন বলেন, ‘জঙ্গী ভাই ও রফিকুল ভাই—দুজনেই লিজেন্ড। আমি তাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। এখনও রফিকুল ভাই কণ্ঠ দেওয়ার সময় প্রতিটি শব্দ বুঝে নেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গী ভাইও শেষ সময়ে দু-একটি শব্দ পরিবর্তন করে যেন গানটির পূর্ণতা এনে দেন। এই প্রজন্মের সুরকার, সংগীত পরিচালকদের উচিত তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করা। তাহলে অনেক কিছু শিখতে পারবেন তাঁরা। গান দুটি খুব শিগগির ইউটিউব ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।’
গীতিকবি জঙ্গী বলেন, ‘নতুন গান করার আগে কণ্ঠশিল্পী সুর দেখে নিবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু গানের প্রতিটি শব্দ উচ্চারণ কীভাবে করলে শুনতে ভালো লাগবে এটা নিয়ে কাজ খুব কম শিল্পীই করে থাকেন। খ্যাতিমান শিল্পী রফিকুল আলম এত দীর্ঘ সময় ধরে গান গাওয়ার পর এখনও শব্দ-উচ্চারণে বেশ সময় ব্যয় করেন। আমি ওনার কাজ দেখছিলাম আর ভাবছিলাম এজন্যই উনি এখনও গানে তারুণ্য ধরে রাখতে পেরেছেন।’
দ্বিতীয় গানটির শিরোনাম ‘তুমি যদি ফিরে আসো আবার’। এ গানে রফিকুল আলম কণ্ঠ দেবেন সামনের সপ্তাহে।