ঢাকাশনিবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পেট দিয়ে ঠেকাতেন কামানের গোলা, হাতুড়ি দিয়ে পেটাতো বন্ধুরা

অনলাই ডেস্ক
নভেম্বর ৩, ২০২১ ৫:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কামান থেকে ছিটকে আসা তীব্র গতির গুলি অনায়াসে আটকে যেত ফ্রাঙ্কের পেটে। তার পেটে যদি হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হতো, তাহলেও কিচ্ছু হতো না। তিনি ছিলেন পৃথিবীর অনন্য এক বিস্ময়কর মানুষ। তার মূল নাম ফ্রাঙ্ক রিচার্ডস হলেও, এসব বিস্ময়ের কারণে নামের মাঝে ‘ক্যাননবল’ শব্দটি যুক্ত হয়েছিল।

ফ্রাঙ্কের রক্ত-মাংসে গড়া পেটের পেশী ছিল খুবই মজবুত। একবার তাকে মাটিতে শুয়ে থাকতে বলা গয়; আর দূর থেকে একসঙ্গে অসংখ্য ব্যক্তি দৌড়ে এসে তার পেটে লাফ দেন। কিন্তু এসব ঘটনা ফ্রাঙ্কের কাছে অতি তুচ্ছ।


বাংলালাইভের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন 


দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম এবং পেটের পেশিকে শক্ত করে তোলার অভ্যাস এবং অনুশীলনের ফল পেয়েছিলেন তিনি। এমনটাই দাবি ছিল ফ্রাঙ্কের।

১৮৮৭ সালে আমেরিকার মিনিয়াপোলিসে খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ফ্রাঙ্ক। বাবা রিচার্ড জোনস এবং মা এলেন এলিজাবেথ। ফ্রাঙ্করা ছিলেন তিন ভাইবোন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসাবে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি।

শরীরকে এমন শক্তিশালী করতে প্রতিদিন ভারী জিনিস দিয়ে পেটে আঘাত করতেন ফ্রাঙ্ক। বন্ধুদের বলতেন বড় হাতুড়ি দিয়ে পেটে আঘাত করতে, কখনো সজোরে ঘুষি মারতে বলতেন। পুষ্টিকর খাবার এবং শরীরচর্চা তার দৈনিক রুটিন ছিল।

ফ্রাঙ্কের জীবনে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানটি ছিল কামানের গুলি রুখে দেওয়া। কামানের মুখে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। কামানে দেওয়া লোহার গুলি তীব্র গতিতে তার পেটে এসে লাগে। তৎক্ষণাৎ ফ্রাঙ্ক ছিটকে মাটিতে পড়ে গেলেও কিছুক্ষণের পরেই সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ান এবং দর্শকদের জানান দেন তিনি একদম ঠিক আছেন।

তিনি একবার নিজে থেকেই আমেরিকার বক্সার জেস উইলার্ডকে আমন্ত্রণ জানান। তারপর বক্সারকে বলেন অনবরত তার পেটে ঘুষি মারতে। বিখ্যাত বক্সারের কিল ঘুষিতেও ফ্রাঙ্কের কিছুই হয়নি।

১৯৬৯-এর ৭ ফেব্রুয়ারি ৮১ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর একাধিক তথ্যচিত্র হয়েছে তাকে নিয়ে। প্রচুর সিনেমায় পেট দিয়ে কামানের গোলা প্রতিহত করার ছবিও দেখানো হয়েছে।