ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২৫শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপি কর্তৃক সেদিন আন্দোলন স্থগিত করা না হলে জাতি আজ মুক্ত থাকতো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
জানুয়ারি ৬, ২০২৩ ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিএনপি কর্তৃক ৬ জানুয়ারি ২০১৪ সালে জনগণের চলমান আন্দোলন সংগ্রামকে স্থগিত করা না হলে গোটা জাতি আজ স্বৈরাচারের কবল হতে মুক্ত থাকতো বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক। বৃহস্পতিবার (৫জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে নাগরিক মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত বিপন্ন গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরন দিবস এবং সকল রাজবন্দীদের মুক্তি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সমগ্র জাতি তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবিতে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলনের মতো কঠোর আন্দোলন শুরু হয়।

সমগ্র বাংলাদেশ স্থবির হয়ে পরে জনগণের আন্দোলনের মুখে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জনগণের মতামত উপক্ষো করে আন্তর্জাতিকভাবে কোনঠাসা হয়েও এককভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪টি আসন দখল করে নেয় বর্তমান সরকার। বাকি আসনগুলোও কারচুপির মাধ্যমে দখল করে নেয় অগণতান্ত্রিক সরকার।
সেদিন প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় হঠাৎ করে বিএনপির আন্দোলন স্থগিত করে দেয়ায় আজ দেশের এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আর তার খেসারত বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীসহ গোটা দেশবাসী দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে নানা ষড়যন্ত্র ও অপকৌশল করে যাচ্ছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এনডিপি’র চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা এ কে এম আবু তাহের, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাবেক ছাত্রনেতা জাগপা’র কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুর রহমান খান আসাদ, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টির চেয়ারম্যান ও নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী মীর্জা আজম, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান ও নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী অধ্যাপক বাজলুর রহমান আমিনী, বাংলাদেশ ইসলামী সমাজতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, সুশীল ফোরামের সভাপতি ও নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী মো. জাহিদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মো. হোসাইন আকন্দ, বাংলাদেশ জজ কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হারুন, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির মহাসচিব ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ডা. মো. শওকত হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী সমাজতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব কমর উদ্দিন লিটন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ডা. মনির হোসেনসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে দেশপ্রেমিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম বলেন, রাজনীতি করা এবং রানৈতিক দল পরিচালনা করা গণতান্ত্রিক অধিকার।

এ অধিকারের প্রতি সম্মান করা রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে সকল নাগরিকের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হয়।
তদরূপ সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং এটিও রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পরে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, রুহুল কবির রিজভী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান ও জাতীয় আলেম ওলামাসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।