ইংরেজী সেপ্টেম্বর মাস চলমান। তার মাঝেই উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় শীতের প্রভাব দেখা দিয়েছে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধা হলেই দেখা মিলছে হালকা কুয়াশার। রাত যত গভীর হচ্ছে, ততই বাড়ছে কুয়াশার প্রভাব।
একই ভাবে কুয়াশার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে শীত। সন্ধার পরে এই উপজেলার হাট-বাজার এবং রাস্তাঘাটে শীতের পোশাক পরিহিত লোকজনের আনাগোনা হয়ে উঠে চোখে পড়ার মত। শীতের আগমনী বার্তায় ব্যস্ত সময় পার করছে শীতের পিঠাপুলি বিক্রেতারা। রাস্তাঘাটের আশেপাশে শীতের পিঠাপুলি তৈরির জন্য দোকান তৈরি করছে তারা। ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে পিঠা তৈরির চুলা। অনেকে আবার শুরু করেছে পিঠা তৈরির কাজ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সন্ধার পরে এই উপজেলার তাপমাত্রা নেমে আসে ২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মধ্য রাত থেকে শেষ রাতে তা নেমে আসে ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
শীতের আগমনী বার্তায় স্থানীয় হাটবাজারে শোভা পাচ্ছে শীতের বিভিন্ন গরম পোশাক। এসব দোকানে রয়েছে কম্বল, জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি ও ট্রাউজার প্যান্ট সহ বিভিন্ন শীতের পোশাক।
ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ডে শীতের পিঠা বানানোর দোকান তৈরি করেছে আরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক। তিনি প্রতি বছরই শীতের পিঠাপুলি তৈরি করেন।
আরিফুল বলেন, “আমাদের এই অঞ্চলে শীতের প্রভাব দেখা দিয়েছে। বর্তমানে রাতে যে হারে কুয়াশা পড়ছে এবং শুরুতেই শীতের যে তীব্রতা, তাতে আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই এই এলাকায় পুরোদমে শীত অনূভুত হবে। আমি গত সোমবার থেকে পিঠা তৈরি শুরু করেছি। সন্ধায় চিতই পিঠা তৈরি করছি। আর কয়েকদিন পর সকাল বেলা ভাপা পিঠা বানাবো।”
কাজিপাড়া গ্রামের রিক্সা চালক মোতালেব মিয়া বলেন, “বিকাল বেলা বাড়িত যায়া ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আসি। রাত ১০ টার পরে আর বাহিরে থাকা যায়না শীতের কারণে। সপ্তাহখানেক আগেও হামি পাতলা গেঞ্জি পরা রাত ১টা পর্যন্ত রিক্সা চালাছি।”
অপরদিকে আজাদমোড়ের কাপড় দোকানদার রাজ্জাক মিয়া বলেন, “এখনই যে হারে শীত পরেছে, তাতে এবার শীতে সাধারণ মানুষের হাটু কাঁপবে। শীতের আগমনী বার্তায় গত বছরের বিভিন্ন শীতের পোশাক দোকানে উঠিয়েছি। মোটামুটি বিক্রিও শুরু হয়েছে।