ঢাকাবুধবার, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গ্রামের বাড়িতে আবরার ফাহাদের মরদেহ, একটু পরেই তৃতীয় জানাযা

বাংলালাইভ ডেস্ক
অক্টোবর ৮, ২০১৯ ১০:০০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক । বাংলালাইভ২৪.কম

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের (২১) মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে নেয়া হয়েছে। সেখানে সকাল ১০টায় তার তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে আবরারের মরদেহ তার কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে সকাল সাড়ে ৬টায় আবরারের দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ কুমারখালীর রায়ডাঙ্গা গ্রামে নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের প্রথম জানাযার নামাজ তার প্রিয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাযা সম্পন্ন হয়।

প্রথম জানাযায় বুয়েটের শেরেবাংলাসহ অন্যান্য হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সহপাঠি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের ঢল নামে।

সোমবার রাতে আবরারের লাশ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেষবারের মতো বুয়েট ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয় আবরারের লাশ। জানাজার জন্য ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে লাশ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মসজিদে। প্রথম জানাযা শেষে রাতেই মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার রায়ডাঙ্গা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।