ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তালেবান শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে বিরোধের গুঞ্জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১ ১১:০০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে তালেবানের নেতাদের মধ্যে বড় ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে। তালেবানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।

তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসে তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারের সঙ্গে একজন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে।

তালেবান নেতৃত্বের মধ্যে মতবিরোধ চলছে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই খবর পাওয়া যাচ্ছিল। যদিও কর্মকর্তারা বরাবরই এ সব তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন।

আগস্টে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটিকে ‘ইসলামিক আমিরাত’ ঘোষণা করে তালেবান।

একটি সূত্র বিবিসি পশতুকে জানিয়েছে, বারাদার ও শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানির মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ বাক্য বিনিময় হয়। তখন সেখানে থাকা তাদের অনুসারীরাও পরস্পরের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। খলিল উর-রহমান হাক্কানি আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাতার, ভিত্তিক একজন জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতা নিশ্চিত করেছেন যে, গত সপ্তাহেও একবার তর্কবিতর্কের তৈরি হয়েছিল।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, সেখানে বিতণ্ডার তৈরি হওয়ার কারণ হলো নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন নিয়ে সন্তুষ্ট নন বারাদার।

আরও জানান, আফগানিস্তানে তালেবানের বিজয়ে কৃতিত্ব কার হবে, সেই নিয়েই বিরোধের শুরু।

বলা হচ্ছে, বারাদার মনে করেন, তার মতো যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়েছেন, কৃতিত্ব তাদের। তবে তালেবানের অন্যতম জ্যেষ্ঠ একজন নেতা পরিচালিত হাক্কানি গ্রুপের সদস্যদের মত, যুদ্ধের মাধ্যমে তারা এই বিজয় পেয়েছেন।

তালেবান সূত্র জানিয়েছে, বিতণ্ডার পর বারাদার কাবুল ত্যাগ করে কান্দাহার চলে গেছেন। তবে সোমবার প্রকাশ হওয়া একটি অডিও বার্তায় তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে বলতে শোনা যায় যে, তিনি একটি সফরে রয়েছেন।

তালেবান এও বলে আসছে, তাদের মধ্যে কোন বিতণ্ডা নেই। তবে বারাদারকে নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য রয়েছে।

একজন মুখপাত্র বলেছেন, তালেবান সুপ্রিম লিডারের সঙ্গে দেখা করতে বারাদার কান্দাহারে গিয়েছেন। আবার পরবর্তীতে বিবিসি পশতুকে বলেছেন যে, তিনি ‘ক্লান্ত এবং বিশ্রামে থাকতে চান’।