ঢাকাশুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সব আলো নিভে গেলো সিটিসেলের

অনলাইন ডেস্ক
মার্চ ১৪, ২০২৩ ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রায় সব আলো নিভে গিয়েছিল আগেই। বাকি ছিল প্রধান আলোটি। সেটিও নিভে গেলো। আলোটি নিভলো মঙ্গলবার (১৪ মার্চ)। এদিন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসিতে মোবাইল ফোন অপারেটর লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদনের চিঠি এসেছে। লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদন দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ফলে আর আলোর মুখ দেখবে না সিটিসেল।


বাংলালাইভের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করু


টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) তার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কমিশন বৈঠকে (সর্বশেষ বৈঠকটির আগের বৈঠকে) সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টির জন্য সরকারের পূর্বানুমোদন চেয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠায়। সরকারের কাছ থেকে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) লাইসেন্স বাতিলের অনুমোদনের চিঠি পেয়েছে বিটিআরসি। এখন সিটিসেলকে চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির কমিশনার (লিগ্যাল ও লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদনের চিঠি পেয়েছি। আমরা সিটিসেলকে দ্রুত লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠাবো।’ জানা গেছে, বুধবার (১৫ মার্চ) সিটিসেলকে লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠানো হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব এস এম তারিকের ১৪ মার্চ সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘কমিশন সভার সিদ্ধান্ত ও বিটিআরসির সুপারিশ মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারের প্রাপ্য বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর ৪৬ (৩) (খ)-এর বিধান অনুযায়ী, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (পিবিটিএল)–এর অনুকূলে ইস্যুকৃত ২জি সেলুলার মোবাইল অপারেটর লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদন নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।’

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে সিটিসেলের সংযোগ সেবা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তরঙ্গ ও নবায়ন করা তরঙ্গের (স্পেক্ট্রাম) বরাদ্দও ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। শুধু ছিল ২জি লাইসেন্স, এবার সেটিও বাতিল হলো সিটিসেলের।

সিটিসেলের (প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড) কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ২১৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৫৯ টাকা। এখন সেই টাকা উদ্ধারের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে বিটিআরসি’র সূত্রে জানা গেছে।

১৯৮৯ সালে সে সময়ের সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) বাংলাদেশ টেলিকম (প্রা.) লিমিটেডের অনুকূলে মোবাইল অপারেটরটির লাইসেন্স ইস্যু করে। পরবর্তী সময়ে এর নাম রাখা হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিতি পায়।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সিটিসেলের অনুকূলে কমিশন থেকে আগে বরাদ্দ ও নবায়নকৃত সব তরঙ্গ এবং একই বছরের ৭ আগস্ট রেডিও কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট লাইসেন্স (নবায়নকৃত)বাতিল করা হয়। এছাড়া একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে সরকারের বকেয়া (২১৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৫৯ টাকা) পরিশোধ না করায় সিটিসেলের ২জি সেলুলার লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না মর্মে ৩০ অক্টোবর ৩০ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেওয়া সিটিসেলের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বিটিআরসি সিটিসেলের ২জি সেলুলার লাইসেন্স বাতিলের জন্য সরকারের পূর্বানুমোদন চেয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।