আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে রাজাকার পরিবার বলে যে মন্তব্য নোয়াখালীর সরকার দলীয় সংসদ সদস্য একরাম চৌধুরী করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই প্রশ্ন রেখে বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি কীভাবে একরাম চৌধুরীর কাছে স্যারেন্ডার করলেন, কীভাবে আত্মসমর্থন করলেন? আমার আব্বা কি রাজাকার ছিলেন? ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার আব্বা মোশারফ হোসেন রাজাকার নয়, তিনি বসুরহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। আর যারা আমার পরিবারকে নিয়ে রাজাকার বলছেন, আপনি তাদের সঙ্গে আত্মসমর্পণ করছেন।
কাদের মির্জা বুধবার সন্ধ্যায় বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে কোম্পানীগঞ্জ নাগরিক সমাজ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বক্তব্য দেননি।
এ কারণে তার প্রতি তীব্র ক্ষোভ ঝেড়ে ছোটভাই নবনির্বাচিত মেয়র বলেন, ‘ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম দিয়ে যারা আসেননি, তারা অপরাজনীতির কাছে মাথা নত করেছেন। অপরাজনীতির কাছে আত্মসমর্পণকে ঘৃণা করি।
ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, অপরাজনীতির কাছে মাথানতকারীরা আমার ভোটারদের অভিনন্দন পর্যন্ত জানাননি। যে দলের (আওয়ামী লীগ) জন্য সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছি, তারাও খবর নেননি।
তিনি সংসদ সদস্য একরাম চৌধুরীর সমালোচনা করে বলেন, আমরা একরাম চৌধুরীর মতো নয় যে, নিজের সন্তানের হাতে অস্ত্র তুলে দেব। যেদিন আমার সন্তান অস্ত্র হাতে নেবে, সেদিন যেন আমার মৃত্যু হয়। তিনি একরাম চৌধুরীর ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমার বাবা আমার ছোট, তুমি আমার ছেলের মতো। তোমার বাবার মুখের কথা– তুমি বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষিত, চেহারাও ভালো, তুমি তোমার অস্ত্র ফেলে দিয়ে শান্তির রাজনীতিতে এসো। কথা দিলাম আমরা তোমাকে সহযোগিতা করব।
তিনি একরাম চৌধুরীর স্ত্রী কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিউলী একরামের সমালোচনা করে বলেন, পরপুরুষের সঙ্গে যে নারী মদের আড্ডায় বসে, সেই ছবি আবার ফেসবুকে ভাইরাল হয়, সে কখনও ভালো হতে পারে না। একরাম চৌধুরী টেলিভিশন লাইভে বলেছে– আমি নাকি অসুস্থ, আমার নাকি চিকিৎসার প্রয়োজন। আমি বলব– আমার নয়, তার (একরাম চৌধুরী) চিকিৎসার প্রয়োজন।