ঢাকাশনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স

সাজ্জাদুল তুহিন, নওগাঁ করেসপন্ডেন্ট
জানুয়ারি ২২, ২০২২ ৬:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কতৃপক্ষের অবহেলা ও অযত্নে মান্দা সরকারি হাসপালের সচল অ্যাম্বুলেন্স ধুলা বালিতে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। একের পর এক করে তিনটি ভাল অ্যাম্বুলেন্স বিকল পড়ে আছে। গত ১৬ সালে নতুন ১ টি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটি পাওয়ার পর চলমান অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার হচ্ছে না। যার ফলে একটি একটি করে তিনটি রোগী বহন অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে দুটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে পড়েছে অন্য একটি সচল থাকলেও অযত্নে নষ্টের পথে।


বাংলালাইভের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


এবাবে খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে ৩টি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। অথচ একটু রক্ষনাবেক্ষণ করার অভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। নজরদারি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। নজরদারি থাকলে রক্ষা পেতো কয়েক লক্ষ লক্ষ টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

অভিযোগ রয়েছে, মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩টি অ্যাম্বুলেন্স মেরামত বা রক্ষনাবেক্ষণ না করার অভাবে বছরের পর বছর পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

ইতোমধ্যে ২টি অ্যাম্বুলেন্স অযত্ন ও অবহেলায় কিছু অংশ নষ্ট হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার মত। অন্য ১টি এখনও ভালো অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে এগুলো আর কাজে লাগবে না।

অ্যাম্বুলেন্স ২টি যদি নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা না হয় তাহলে এগুলো একদিন নষ্ট হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। সময় থাকতে যদি নিলামের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে এগুলো মেরামত করলে, ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। বিভিন্ন ক্লিনিক মালিকেরা কম দামে ক্রয় করে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত পারবে।সাধারণ মানুষ ও জন প্রতিনিধিরা এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বরের ভিতরে অ্যাম্বুলেন্স গ্যারেজ বাম দিকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কোয়ার্টার সংলগ্ন খোলা আকাশের নিচে ২টি অ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে।অ্যাম্বুলেন্স গুলোর দরজা-জানালা খসে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে অনেক প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের হদিস নেই। পাশেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের নিচে বাম পাশে ২০১৬ সাল থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে আরো ১টি অ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে। পড়ে থেকে গায়ে শেওলা জমতে শুরু করেছে।

জানা যায়, ২০১৬ সালে নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার পর থেকে আগেরটি আর ব্যবহার না হওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে । সব মিলিয়ে ৪টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে শুধু একটি ব্যবহার হচ্ছে। অথচ অনেক সময় রোগীর চাপ সামলাতে একজন ড্রাইভারকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একাধিক বার রোগী নিয়ে যাওয়া আসা করতে হয়।

হিমশিম খেতে হয় একজন চালকে। অনেক সময় রেফার্ডকৃত মহূর্ষ রোগী অ্যাম্বুলেন্স ফাঁকা না পেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাসে করে রাজশাহীতে যেতে হয়। অথচ কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স গুলো খোলা আকাশের নিচে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।

এবিষয়ে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায় জানান,এসব বিষয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিয়ে আমাদেরকে জানালে আমরা পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারবো।