ঢাকাবুধবার, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বালিয়াকান্দিতে থাই পেঁয়ারা চাষে স্বাবলম্বী মফিজ

সোহেল খান, বালিয়াকান্দি করেসপন্ডেন্ট
জানুয়ারি ২৯, ২০২২ ৭:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের মো. ছালাম মিয়ার ছেলে মফিজ থাই জাতের পেঁয়ারা চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন।


বাংলালাইভের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন


মফিজ ৭০ শতাংশ জমিতে থাই জাতের পেঁয়ারার চাষ শুরু করলেও এখন তা দারিয়েছে বিশ পাখিতে। বাগানের ব্যায় ও পরিবারের খরছ চালিয়েও বছরে প্রায় ৪/৫ লক্ষাধীক টাকা সঞ্চয় হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় উপজেলার দক্ষিন বালিয়াকান্দি গ্রামে বাড়ীর পাশের মাঠে পাশাপাশি দুইটি বাগানে সারিসারি পেঁয়ারা গাছে পেয়ারা ধরে আছে। বাগান মালিক মফিজ মিয়ার সাথে ৪ জন শ্রমীক বাগানের গাছগুলোর পরিচর্যার কাজ করছে।

এবিষয়ে বাগান মালিক মফিজ মিয়া জানান, পূর্বে আমি দিন মুজুরের করে যা পেতাম তা দিয়ে পরিবারের চালানো সম্ভব হতোনা। তাও সবসময় কাজ থাকতোনা ফলে যখন কাজ থাকতোনা তখন পরিবারের সবাইকে অনাহারে থাকতে হতো। আমার এক আত্বিয় থাই জাতের পেঁয়ারা চাষ করে লাভবান হওয়ার ফলে তার অসচ্ছল পরিবারের সচ্ছলতার বিষয় জানতে পেরে তার সহাযতায় ৫ বছর পূর্বে বাড়ীর পাশের মাঠ ৭০ সতাংশ জমি বন্ধক নিয়ে তাতে পেঁয়ারা বাগান করি। ৭০ শতক জমিতে ভালো করে চাষ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে ৩৬০ টি চারা রোপন করে সঠিক ভাবে পরিচর্যার ফলে গাছগুলো খুব হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠে ফলে ৮ সেবছরই হাছে পেঁয়ারা ধরা শুরু হয়। সে বছর আমার সব খরচ বাবদ বাগানে লক্ষাধীক টাকা ব্যায় হলেও আমি ৩ লক্ষ টাকার পেঁয়ারা বিক্রি করি ফলে আমার ২ লক্ষ টাকা আয় হয়। সেখান খেকে আমাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। আমার বর্তমানে বিশ পাখি জমি বন্ধকী জমিতে পেঁয়ারা বাগান রয়েছে। এ হুলো পরিচর্যার জন্য সব সময় ৪ জন শ্রমীক রয়েছে তারা ছারাও মাঝে মাঝে বার্তি লোক নিতে হয়। বর্তমানে আমার বাগাের সকল ব্যায় বাদে বছরে ৭/৮ লক্ষাধীক টাকা আয় হয়। তা থেকে আমার সন্তানদের লেখা পড়াসহ সকল খরচ বাদেয় বেশ কিছু টাকা সঞ্চয় হয়। আমার সফলতা দেখে অনেকেই থাই জাতের পেঁয়ারা চাষ করছে তারা আমার নিকট যে কোন সহযোগী চাইলে আমি তা দিয়ে থাকি। তিনি আরো জানান, থাই পেয়ারা চাষে লাভজনক হওয়ায় জেলার কালুখালী, পাংশা, গোয়ালন্দে অনেকেই এর চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছে।