বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্নিমার জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে ভেরিবাঁধ, সড়ক, মৎস্য, বসতঘরসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ১৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৭শত পরিবারের মাঝে নৌবাহিনীর তরফ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। রবিবার বেলা ১১ টার দিকে নৌবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থেকে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ত্রান সহয়তার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন আবারও বহরবুনিয়া নদীর তীরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ এ সময় তার সাথে ছিলেন।
পানিউন্নয়ন বোর্ডের ভেরিবাঁধ ভেঙ্গে তিনটি ইউনিয়নের ৮টি গ্রামে এখন সরাসরি নদীর পানি ওঠানামা করছে। পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার, যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক খলিফা, মাহফিজুর রহমান হিরুসহ দেবরাজ গ্রামের শতশত লোক ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াবদার ভেরিবাঁধে সংসদ সদস্য’র পরিদর্শনে তাকে অভিনন্দন জানান।
এ ছাড়াও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডসহ ৬ টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১২টি গ্রামে প্রবেশ করেছে নদীর অধীক লবন পানি। বহু পরিবার এখনো পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। বন্ধ রয়েছে রান্নার কাজ।
মোড়েলগঞ্জ ও নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ৭ শত পরিবারের মাঝে জরুরি খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছে নৌবাহিনীর একটি দল। নৌবাহিনীর সাব লেফটেনেন্ট জুয়েল চন্দ্র সরকার বলেন, খুলনা নেভাল কমান্ডারের পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্ত ৭০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জরুরি ত্রান সহায়তা সম্পর্কে বলেন, সড়ক, মৎস্য, বিদ্যুৎ, বসতঘরসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ১৩ কেটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারের তরফ থেকে ১৫০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা ও নগদ ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। যা সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাধ্যমে বিতরণের কাজ চলছে।
